হানাফী মাযহাবে কি যেকোনো গাছ বা পাতা দ্বারা ফিতরা আদায় করা জায়েয?
.
আচ্ছা, গণমুকাল্লিদ বা তথাকথিত আহলে হাদীস মানেই মূর্খ হতে হবে কেন! কেন তাদেরকে সর্ব ক্ষেত্রেই জালিয়াতি করতে হয়? এদের জন্মই কি জালিয়াতির মাধ্যমে?
কথাগুলো কেন বললাম? কারণ, এক গণমুকাল্লিদ লিখেছে, ইমাম আবু হানীফাহ রহ. নাকি যেকোনো গাছ দ্বারা ফিতরাহ আদায় করাকে জায়েয বলেছেন। তার বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হলো; সে লিখেছে
“🚫ফিতরা নিয়ে হানাফিদের দলিল 💥
মজার একটি দলীল পাইলাম হানাফী মাযহাবীরা কলাগাছ, বটগাছ, অর্ধ সা পাতা দিয়ে ফিতরা আদায় করতে পারবে।
حَدَّثَنَا يَزْدَادُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، ثنا أَبُو سَعِيدٍ الْأَشَجُّ ، ثنا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ ، عَنْ أَبِي حَنِيفَةَ ، قَالَ: لَوْ أَنَّكَ أَعْطَيْتَ فِي صَدَقَةِ الْفِطْرِ هُلَيْلِجَ لَأَجْزَأَ-
ইমাম আবূ হানীফা রহিমাহুল্লাহ বলেছেন যে, ‘তুমি যদি হুলাইলাজ নামক গাছ দ্বারা ফিতরা আদায় কর তাহলেও তা যথেষ্ট হবে’ (সুনানে দারাকুতনী হা/২১২২, কিতাবসু যাকাতিল ফিতরি)।
এক্ষণে হানাফীরা কি গাছ দিয়ে ফেতরা আদায়কে জায়েয বলবেন?”
এই গেলো তার পোস্ট। এবার ‘পোস্ট’মর্টেমে আসি-
১. পোস্ট লেখক الهليلج শব্দের উচ্চারণটাও শুদ্ধ করে লিখতে পারেনি। শুদ্ধ হবে ‘হুলাইলিজ’ বা ‘হিলীলাজ’ কিন্তু সে লিখেছে ‘হুলাইলাজ’। এমন মূর্খরাই হানাফি মাজহাবের বিরোধিতা করবে এটাই স্বাভাবিক।
২. সে তার বাপদাদার পুরোনো স্বভাব এবং চিরাচরিত অভ্যাস অনুযায়ী এখানেও অনুবাদে জালিয়াতি করেছে। সে লিখেছে- ‘হুলাইলাজ নামক গাছ দ্বারা’ অথচ এর সঠিক অর্থ হবে “হুলাইলিজ নামক ফল (হরিতকি) দ্বারা”।
তাছাড়া মূল আরবীতে যেহেতু কেবল “হুলাইলিজ” বলা হয়েছে। এটি গাছ নাকি ফল- এর কিছুই উল্লেখ নেই। তার উচিত ছিল অন্তত কেবল “হুলাইলিজ” বলা। কিন্তু না, তিনি অনুবাদের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ব্র্যাকেট ছাড়াই নিজের মনমতো “হুলাইলাজ নামক গাছ দ্বারা” লিখে দিয়েছেন। এটি নিঃসন্দেহে একটি জালিয়াতি।
📗 হুলাইলিজ মূলত কী
হুলাইলাজ এক ধরনের ঔষধি বীজ বা ফল। সংস্কৃতি ও বাংলায় একে হরিতকি বলা হয়। হরিতকি ফল চেনেন না কিংবা এর নাম শুনেননি- আশা করি এমন কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর সুবিখ্যাত হরিতকি- এটি গাছ নাকি ফল এবং এর ঔষধি গুণাগুণ কী সেটা অবশ্যই কমবেশি সবাই জেনে থাকবেন। পৃথিবীতে প্রায় পঁয়ত্রিশটি প্রজাতির হুলাইলিজ (হরিতকি ফল) রয়েছে।
তাছাড়া বিভিন্ন হাদিসে এবং চিকিৎসা শাস্ত্রীয় একাধিক কিতাবে এই ফলের বিভিন্ন রঙেরও উল্লেখ রয়েছে। যেমন-
علي بن أبي طالب عليهم السلام قال: لو عَلِمَ الناس ما في الهليلج الأصفر لاشتروها بوزنها ذهباً. وقال لرجل من أصحابه: خذ هليلجة صفراء وسبع حبات فلفل واسحقها وانخلها واكتحل بها
আলী রা. বলেন- মানুষেরা যদি “হলুদ বর্ণের হুলাইলিজ” (হরিতকি ফল) সম্পর্কে জানতো তবে তা স্বর্ণের ওজনে কিনতো। এবং তিনি তাঁর একজন সঙ্গীকে বললেন, তুমি হলুদ রঙের একটি হুলাইলিজ (হরিতকি) এবং সাতটি গোলমরিচ নেবে। এরপর সেগুলো চূর্ণ করে সেঁকে নেবে। অতঃপর তা ব্যবহার করবে। [বিহারুল আনওয়ার: ৫৭/২৬৭, তিব্বুল আইম্মাহ: ১/৮৬]
আলী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর এই বর্ণনা ও বর্ণনাভঙ্গি থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, হুলাইলিজ একটি ঔষধি (হরিতকি) ফল। কারণ, গাছগাছড়া সাধারণত হলুদ বর্ণের হয় না। তাছাড়া সাতটি গোলমরিচের সাথে কথিত একটি হুলাইলিজ বৃক্ষ চূর্ণ করা হাস্যকরই বটে।
একই গ্রন্থে আরও এসেছে-
وقال ابن بيطار نقلاً عن البصري: الهليلج على أربعة أصناف: فصنف أصفر، وصنف أسود هندي صغار، وصنف أسود كابلي كبار، وصنف حشف دقاق يعرف بالصيني
ইবনে বায়তার রহ. বিসরী রহ. থেকে বর্ণনা করেন- হুলাইলিজ (হরিতকি) চার প্রকারের। ১. হলুদ বর্ণের হুলাইলিজ, ২. কালো বর্ণের ভারতীয় ছোট হুলাইলিজ, ৩. কালো বর্ণের কাবুলী বড় হুলাইলিজ, ৪. চীনা হুলাইলিজ।
এ বর্ণনামতেও প্রমাণিত হলো যে, হুলাইলিজ একটি ফল। কারণ, উপরে যে বৈশিষ্ট্যগুলো বলা হয়েছে- এগুলো কেবল একটি ফলের ক্ষেত্রেই সামঞ্জস্যপূর্ণ। যেমন: হলুদ বর্ণের, কালো বর্ণের, ছোট-বড় ইত্যাদি।
وقال ابن سينا في القانون: الهليلج معروف، منه الأصفر الفج، ومنه الأسود الهندي وهو البالغ النضيج وهو أسخن، ومنه كابلي وهو أكبر الجميع، ومنه صيني وهو دقيق خفيف، وأجوده الأصفر الشديد الصفرة الضارب إلى الخضرة الرزين الممتلئ الصلب، وأجود الكابلي ما هو أسمن وأثقل يرسب في الماء وإلى الحمرة وأجود الصيني ذو المنقار.
ইবনে সীনা রহ. তাঁর ‘আল-কানূন’ গ্রন্থে বলেন- হুলাইলিজ (হরিতকি)- এটি সুপরিচিত। কিছু হুলাইলিজ (হরিতকি) আছে উজ্জ্বল হলুদ বর্ণের। কিছু আছে কালো বর্ণের: এগুলো ভারতীয়। আবার কাবুলী হুলাইলিজ; এটি হচ্ছে সবচেয়ে বড়। আর চীনা হুলাইলিজ হলো, হালকা সরু। আর সবচেয়ে ভালো হলো, তীব্র হলুদ অর্থাৎ সবুজ-হলুদ রঙের হুলাইলিজ- যা ভারী, পুরু এবং শক্ত। আর কাবুলী হুলাইলিজের মধ্যে সর্বোত্তম হলো, পুরুষ্ট ও ভারী যা পানিতে দীর্ঘক্ষণ ভেজার ফলে লাল হয়ে যায়। আর চীনা হুলাইলিজের মধ্যে সবচেয়ে ভাল হলো, যুল-মিনকার অর্থাৎ যা পাখির ঠোঁটের মতো সরু। [বিহারুল আনওয়ার: ৫৭/২৬৭]
বিশিষ্ট মুসলিম চিকিৎসা বিজ্ঞানী আবু আলী ইবনে সীনার বর্ণনামতেও এটি একটি ফল। কারণ, উপরে যে বৈশিষ্ট্যগুলো বলা হয়েছে- এগুলোও কেবল একটি ফলের ক্ষেত্রেই সামঞ্জস্যপূর্ণ। যেমন: হলুদ বর্ণের, কালো বর্ণের, ছোট-বড়, সরু-পুরু, ভারী, শক্ত ইত্যাদি।
عَن طلق بن حبيب قال: الهليلجة في البطن كالكريانونة في البيت. قال سفيان: يريد المرأة التي تصلح أمر البيت وتدبره
তালাক বিন হাবিব রহ. বলেন- পেটের মধ্যে হুলাইলিজ হচ্ছে ঘরের মধ্যে ‘কারয়ানূনাহ’ এর মত। সুফিয়ান বলেন- ‘কারয়ানূনাহ’ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে এমন স্ত্রী —যে ঘরের যাবতীয় কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করেন এবং ঘরকে গুছিয়ে রাখেন। [আত-তিব্ব: ২/৬১৪]
এ বর্ণনা দ্বারাও প্রমাণিত হয় যে, হুলাইলিজ হচ্ছে ফল, কারণ পেটের মধ্যে কখনো গাছ ঢুকবে না বরং ফলই ঢুকবে। আর চিকিৎসা হিসেবে এ গাছের ফলই ব্যবহার হয়, গাছ কিংবা পাতা নয়।
আলহামদুলিল্লাহ। উপরিউক্ত দলীলাদির দ্বারা সুপ্রমাণিত হয়ে গেল যে, হুলাইলিজ একটি ঔষধি ফল। কারণ, বৃক্ষ কখনো বিভিন্ন রঙের ও বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের হয় না। যেমন: কোনোটা মোটা, কোনোটা চিকন, কোনোটা হলুদ, কোনোটা কালো, কোনোটা সবুজ-হলুদ। কোনোটা ভারী, কোনোটা শক্ত, কোনোটা পুরু, কোনোটা পাখির ঠোঁটের মতো সরু। কোনোটা বড় ধরনের, কোনোটা ছোট ধরনের ইত্যাদি।
📗 সম্ভাব্য প্রশ্ন ও তার জবাব
একটি হাদীসে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হুলাইলিজ হলো জান্নাতের গাছ। এ হাদীসের ওপর ভিত্তি করে কিছু কিছু গ্রন্থেও এটিকে গাছ বলা হয়েছে।
কিন্তু বাস্তবতা হলো এটি কোনো গাছের নাম নয়; বরং ফলের নাম। গাছের নাম না হওয়ার কয়েকটি কারণ-
১. সাধারণত ফলের নামেই গাছের নাম হয়ে থাকে। যেমন: আমের কারণে তার গাছকে আমগাছ বলা হয়, জামের কারণে তার গাছকে জামগাছ বলা হয়। নারিকেলের কারণে তার গাছকে নারিকেল গাছ বলা হয়। তালের কারণে তার গাছকে তালগাছ বলা হয়। একইভাবে প্রত্যেক গাছকে তার ফলের নামেই ডাকা হয়।
সাধারণত কখনো এমন হয় না যে, ফলকে গাছের নামে ডাকা হয়েছে- যেমন আমের ফল কিংবা জামের ফল। বরং গাছকেই তার ফলের নামে ডাকা হয়, যেমন আমগাছ কিংবা জামগাছ। আর এখানেও বিষয়টা এমনই। অর্থাৎ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গাছকে তার ফলের নামে ডেকেছেন।
২. আরেকটা উদাহরণ হচ্ছে, যেমন আমরা কলাপাতা, খেজুরপাতা, তালপাতা, আমপাতা ইত্যাদি বলি। অথচ বাস্তবে কলা, খেজুর, তাল এবং আমের কোনো পাতা হয় না বরং কলাগাছের পাতা হয়, খেজুর গাছের পাতা হয়। অর্থাৎ আমপাতা বললে আম ফলের পাতা উদ্দেশ্য হয় না বরং আম গাছের পাতা উদ্দেশ্য হয়। আর তালপাতা বললে তাল ফলের পাতা উদ্দেশ্য হয় না বরং তাল গাছের পাতাই উদ্দেশ্য হয়। সোজা কথায়, ফলের নাম বলে ফলের গাছ উদ্দেশ্য।
অতএব ‘হাদীসে এটিকে গাছ বলা হয়েছে, আর বাস্তবে তা হলো ফল’ এতে কোনো বৈপরীত্য সৃষ্টি হয় না। কারণ, সাধারণত ফলের নামেই গাছের নাম হয়। যেমন- যয়তুন মানে যয়তুন ফল, আবার এর গাছকেও যয়তুন বলা হয়। কিন্তু সাধারণত যয়তুন বললে যয়তুন ফলই উদ্দেশ্য হয়ে থাকে।
৩. আরবি ভাষায় হুলাইলিজ (হরিতকির) গাছ বোঝাতে الهليلج শব্দের সাথে شجرة (গাছ) শব্দটিও ব্যবহৃত হয়। যদি হুলাইলিজ মানেই গাছ হতো, তাহলে আলাদাভাবে شجرة الهليلج (হুলাইলিজ গাছ) বলতে হতো না। মূলত গাছ শব্দটি ঐ শব্দের সাথেই আসে যে শব্দ সরাসরি গাছকে নির্দেশিত করে না। যেমন আমরা আমগাছ বলি। কারণ, আমগাছ না বলে কেবল আম বললে গাছকে নির্দেশ করে না। আর এ ক্ষেত্রেও যেহেতু কেবল ‘হুলাইলিজ’ বললে গাছকে নির্দেশ করে না; কাজে এখানে شجرة (গাছ) শব্দটি ব্যবহৃত হচ্ছে।
📗 তর্কের খাতিরে কিছুক্ষণের জন্য মেনেও নিলেও...
দ্বিতীয়তঃ যদি তর্কের খাতিরে কিছুক্ষণের জন্য মেনেও নিই যে, এটি গাছ। তাহলেও কিছু যায় আসে না: কারণ, এ গাছের ফলকেও হুলাইলিজ বলা হয়। কারণ, কলা গাছের ফলকে কলাই বলা হবে এটাই স্বাভাবিক! সুতরাং এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, ইমাম আবু হানীফাহ রহ. হুলাইলিজ দ্বারা এর ফল (হুলাইলিজ)-কেই উদ্দেশ্য নিয়েছেন।
এর আরো একটি কারণ এই যে, হুলাইলিজ (হরিতকি) এর ঔষধি গুণাগুণের কারণেই এর গাছের এত দাম। এমনকি এটিকে জান্নাতের গাছ বলা হয়েছে; নচেৎ এ গাছের কোনোই মূল্য নেই বরং সাধারণ একটি গাছের মতো। কাজেই এই গাছটিকে আলাদাভাবে বিশেষায়িত করার কোনো মানেই নেই। তাছাড়া, গাছ তো আরো অনেকই আছে; কেবল হুলাইলিজ বলা হল কেন? এতে করে বোঝা যায় এখানে গাছ উদ্দেশ্য নয় বরং এর ফলই উদ্দেশ্য।
📗 ইমাম আবূ হানীফাহ রহ. বিশেষ করে হুলাইলিজ ফলের কথা কেন বললেন?
কারণ এই ফলটি অনেক দামী। যেমন: আলী রা. বলেন- মানুষেরা যদি “হলুদ বর্ণের হুলাইলিজ” (হরিতকি) সম্পর্কে জানতো, তবে তা স্বর্ণের ওজনে কিনে নিতো। [বিহারুল আনওয়ার: ৫৭/২৬৭]
কিন্তু হয়তো ইমাম আবূ হানীফাহ রহ. এর সময়ে এর মূল্য সম্পর্কে মানুষজন তেমন একটা অবহিত ছিলো না, কাজেই তারা মনে করতো হুলাইলিজ (হরিতকি) দ্বারা সাদাকাতুল ফিতর আদায় হবে না। এ কারণেই ইমাম আবূ হানীফাহ রহ. এই ভুল ভেঙে দিয়ে বলেন, হুলাইলিজ (হরিতকি ফল) দ্বারা সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা জায়েয। কারণ এটি একটি দামী ফল- যা স্বর্ণের ওজনে কেনার দাবি রাখে।
📗 ৩. দ্বিতীয় জালিয়াতি
অতীব দুঃখজনক কথা হচ্ছে, ইমাম আবূ হানীফাহ রহ. নির্দিষ্ট করে কেবল হুলাইলিজ (হরিতকি ফল) এর কথা বললেও আমাদের গণমুকাল্লিদ ভাইয়েরা জালিয়াতির মাধ্যমে বটগাছ, কলাগাছ, আমগাছ, জামগাছ- মোটকথা সকল গাছই উদ্দেশ্য নিয়েছে এমনকি গাছের পাতাও উদ্দেশ্য নিয়েছে।
তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, কেউ যদি বলে, কুমড়াপাতা/কদুপাতা খাওয়া যায়; এর মানে কি কলাপাতা বা যেকোনো গাছের পাতাও খাওয়া যায়! যদি না যায়, তাহলে হুলাইলিজ বলার দ্বারা কলাগাছ, বটগাছ এমনকি যেকোনো গাছের বিষয় কেনো আসবে!
অথচ তারা পোস্ট করেছে
“মজার একটি দলীল পাইলাম, হানাফী মাযহাবীরা কলাগাছ, বটগাছ, অর্ধ সা পাতা দিয়ে ফিতরা আদায় করতে পারবে...। এক্ষণে হানাফীরা কি গাছ দিয়ে ফেতরা আদায়কে জায়েয বলবেন?”
কিন্তু আদৌও কি ইমাম আবূ হানীফাহ রহ. কলাগাছ, বটগাছ বা যেকোনো গাছ এবং গাছের পাতা দ্বারা সাদাকাতুল ফিতর আদায় হবে মর্মে কোন কিছু বলেছেন? তারা কি কস্মিনকালেও তা দেখাতে পারবে? নিশ্চয়ই না। কারণ, ইমাম আবূ হানীফাহ রহ. সত্যিই এমন কিছুই বলেননি।
অথচ তারা তাঁর নামে মিথ্যা অপপ্রচার করে তথাকথিত সহীহ আকীদা প্রচার করছে। নাউযুবিল্লাহ!
এ সমস্ত ভাইয়েরাও নাকি যাবে জান্নাতে! অথচ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ধোঁকাবাজ আমার উম্মতের দলভুক্ত নয়। আল্লাহ বলেন, মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহ তা'আলার লা'নত। সত্যিই, কোনো লানতপ্রাপ্ত লোক ছাড়া কেউ এমন জঘন্য জালিয়াতি করতে পারে না।
লুবাব হাসান সাফওয়ান
[নিচের ছবিগুলো ‘হুলাইলিজ' এর ছবি। ছবির ওপরের নামগুলো আগে থেকেই লেখা ছিলো]
কোন মন্তব্য নেই